মামলা করায় বাদীর ভাগনেকে হাতুড়ি পেটা করলেন ইউপি সদস্য

পেকুয়া প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাদী ঘোনা এলাকার মৃত সিরাজুল হকের পুত্র মোঃ রহিমদাদ।

তার বসতবাড়ি ভাংচুর, পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার অভিযোগে অাদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অাসামী করা হয় টইটং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তি বারবাকিয়া ইউপির সদস্য জাহাঙ্গীর অালম ও অারো কয়েকজনকে।

পেকুয়া থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অাদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ওই মামলায় সদ্য জেল কেটে বের হন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। বের হয়ে বাদী রহিমদাদকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

সর্বেশষ বৃহস্পতিবার সকালে বাদী রহিমদাদের ভাগনেকে জাফর অালমকে (৪০) হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর অাহত করে। অাহত জাফর অালম ওই এলাকার কালা মিয়ার পুত্র।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় টইটং ইউনিয়নের আবাদীঘোনা এলাকায় এঘটনা ঘটে।

মামলার বাদী রহিমদাদ বলেন, বনের রাজাখ্যাত জাহাঙ্গীর আলমের নির্যাতনে অামরা অতিষ্ঠ। এমন কোন অপকর্ম নাই তিনি করেন না। অামাদের বসতবাড়ি দখল করতে বিগত কয়েকমাস অাগে হামলা ও ভাংচুর চালায়। অাদালতে মামলা করি তাদের বিরুদ্ধে। জেল থেকে বের হয়ে মামলা করার প্রতিশোধ নিতে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর অালমের নেতৃত্বে মোঃ অালমগীর, বাবু মিয়া, মোঃ অাব্বাছ, মোঃ অাবছারসহ অারো কয়েকজন অামার ভাগনে জাফর অালমকে হাতুড়ি পেটা করে গুরুতর অাহত করে। মানুষকে এভাবে পেটাতে পারে চোঁখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা।

অাহত জাফর অালম বলেন, অামার কোন দোষ নাই। অামার মামা মামলা করার কারণে অামাকে হাতুড়ি পেটা করেছে ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েকজন। অামি মারা গেছি মনে করে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা অামাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর অালম বলেন, অামি জেল হতে বের হওয়ার পর থেকে রোগে ভুগতেছি। বাড়ি থেকে বের হতে পর্যন্ত পারিনা। তারপরও রহিমদাদের পরিবারের সাথে কোন ঘটনা ঘটলে অামার দোষ হয়। অথচ এঘটনা অামি জানিনা পর্যন্ত।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অাইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।